কেগেল ব্যায়ামের উপকারিতা, পেলভিক ফ্লোর ব্যায়াম এর বেনিফিট (Benefits of Kegel Exercises)
পেলভিক ফ্লোর ব্যায়ামের বেনিফিট (Benefits of Kegel Exercises), কেগেল ব্যায়ামের উপকারিতা সমূহঃ কেগেল ব্যায়াম, যা পেলভিক ফ্লোর ব্যায়াম নামেও পরিচিত, নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ শরীরচর্চা। এই ব্যায়ামটির নাম এসেছে তার আবিষ্কারক, ডাক্তার আর্নেস্ট কেগেলের নাম থেকে।
কেগেল ব্যায়ামের উপকারিতা
কেগেল ব্যায়াম করা অনেকেই জানেন, কিন্তু এর সঠিক উপকারিতা সম্পর্কে হয়তো আপনার জানা নেই। চলুন, এই প্রবন্ধে কেগেল ব্যায়ামের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।
১. মূত্রনালী এবং পেশীর শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক
কেগেল ব্যায়াম মূলত পেলভিক ফ্লোরের পেশীকে শক্তিশালী করে। এই ব্যায়ামের মাধ্যমে মূত্রনালী ও পেশীর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে, মূত্রাশয়ের সমস্যা যেমন অকাল মূত্রত্যাগ বা অনিয়ন্ত্রিত মূত্রত্যাগ কমাতে সাহায্য করে।
২. যৌনস্বাস্থ্যের উন্নতি করে
কেগেল ব্যায়াম যৌনস্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এটি যৌনাঙ্গের পেশীকে শক্তিশালী করে এবং যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে, এটি যৌন সুখ বৃদ্ধি এবং অর্গাজমকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। পুরুষদের জন্যও এটি ইরেক্টাইল ডিসফাংশন কমাতে সহায়ক হতে পারে।
৩. প্রসব পরবর্তী পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখে
প্রসবের পর পেটের পেশী দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং পেটের চাপ বৃদ্ধি পায়। কেগেল ব্যায়াম এই পেশীগুলোকে পুনরায় শক্তিশালী করতে সাহায্য করে, যার ফলে প্রসব পরবর্তী সুস্থতা দ্রুত ঘটে। এটি প্রসবের সময় প্রসব পথের পেশীকে শক্তিশালী করতেও সহায়ক।
৪. মূত্রনালী এবং অন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ করে
মূত্রনালী এবং অন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। কেগেল ব্যায়াম এই সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে। এটি পেশীকে শক্তিশালী করে এবং মূত্রনালী ও অন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৫. পেটের পেশীর শক্তি বৃদ্ধি করে
পেটের পেশী শক্তিশালী করতে কেগেল ব্যায়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শক্তিশালী পেটের পেশী শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম সহজ করতে সহায়ক।
কেগেল ব্যায়াম করার নিয়ম
কেগেল বা পেলভিক ফ্লোর ব্যায়াম করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই। চলুন –
১. পেশী চিহ্নিত করুন: প্রথমে পেশী চিহ্নিত করুন যা মূত্রনালী বন্ধ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত পেলভিক ফ্লোরের পেশী।
২. ব্যায়াম করুন: পেশীগুলো ধীরে ধীরে চেপে ধরুন এবং কিছু সেকেন্ড ধরে রাখুন। তারপর ধীরে ধীরে ছেড়ে দিন। এটি দিনে তিন থেকে চার বার করুন।
৩. প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করুন: নিয়মিতভাবে কেগেল ব্যায়াম করলে ফলাফল দেখতে কিছু সময় লাগতে পারে। কিছু সপ্তাহের মধ্যে আপনি উন্নতি দেখতে শুরু করবেন।
পড়ুনঃ ভিগোজেল ক্রিম এর উপকারিতা (Benefits of Vigogel Cream)
উপসংহার,
কেগেল ব্যায়াম শরীরের পেশী শক্তিশালী করতে এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সমাধান করতে সহায়ক। এটি একটি সহজ এবং কার্যকর ব্যায়াম যা প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় অনেক সুবিধা প্রদান করতে পারে। তাই আজই শুরু করুন কেগেল ব্যায়াম এবং সুস্থ জীবনযাপনের পথে এক পদক্ষেপ এগিয়ে যান!