সৌন্দর্য নিয়ে রবীন্দ্রনাথের উক্তি (Sondorjo Niye Robindronather Uktti), স্ট্যাটাস
(Sondorjo Niye Robindronather Uktti) সৌন্দর্য নিয়ে রবীন্দ্রনাথের উক্তি, স্ট্যাটাস: সৌন্দর্য মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টিতে সৌন্দর্য মানে কেবল বাহ্যিক আকর্ষণ নয়,
বরং এটি অন্তরের শান্তি ও আনন্দের প্রতীক। আজকের এই লেখায়, আমরা রবীন্দ্রনাথের সৌন্দর্য নিয়ে কিছু অনুপ্রেরণামূলক উক্তি শেয়ার করবো।
সৌন্দর্য নিয়ে রবীন্দ্রনাথের উক্তি
রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, সৌন্দর্য ধরা দেয় না যাকে-তাকে। তাকে পাবার জন্য মনকে করতে হয় স্বচ্ছ এবং বিশুদ্ধ। সৌন্দর্য তার মাধুর্যে অভিজ্ঞান দেয় শুধুমাত্র সেই হৃদয়কে, যে হৃদয় আলোতে ভরা।
যে চোখে সৌন্দর্য খুঁজে পায় না, তার কাছে পৃথিবী হলো ধূসর, সেখানে রঙের অভাব থাকে। কিন্তু সৌন্দর্য দেখতে পেলে সেই পৃথিবী হয়ে ওঠে নীল আকাশের নীড়।
প্রকৃত সৌন্দর্য হলো সেই সৌন্দর্য যা শুধু বাহিরের নয়, অন্তরের সৌন্দর্য। যেখানে আলোর আভা মেলে দেয় তার দীপ্তি, সে সৌন্দর্য অমৃতময়।
জীবনের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য হলো তার অনির্বাণ আলোর মতন ছড়িয়ে পড়া, যে আলো শুধু বাহির থেকে নয়, অন্তর থেকে বিকশিত হয় প্রতিমুহূর্তে।
যখন আমি সৌন্দর্য দেখি, তখন বুঝতে পারি তার গভীরতা। সৌন্দর্য শুধু দৃষ্টির জন্য নয়, হৃদয়ের সঙ্গে মিলিত হয়ে তার অর্থ স্পষ্ট হয়।
প্রকৃতির সৌন্দর্য চোখের আড়ালে নয়, হৃদয় দিয়ে অনুভব করা যায়। যেখানেই চোখ যায়, সেখানে আলোর মতন সৌন্দর্য মেলে দেয় তার দিগন্ত।
যে হৃদয়ে সৌন্দর্য অনুধাবন করার ক্ষমতা নেই, সে কখনোই প্রকৃত সৌন্দর্য অনুভব করতে পারে না। সৌন্দর্য প্রকাশিত হয় হৃদয়ের গভীরতায়।
আমরা সৌন্দর্যের পেছনে ছুটতে থাকি, কিন্তু যখন নিজেকে তার মধ্যে মেলে দিই, তখন বুঝতে পারি, সৌন্দর্য সব সময় আমাদের কাছেই ছিল।
সৌন্দর্য হলো সেই আলোর রূপ যা সময়ের সীমার মধ্যে নয়। তার স্পর্শ মনের গহীন কোণে পৌঁছে দেয় আনন্দের দোল।
যে চোখে সৌন্দর্য দেখতে পায় না, তার কাছে পৃথিবী অন্ধকারময়। কিন্তু সেই চোখই আলো পেলে সৌন্দর্যকে আবিষ্কার করে প্রতিদিন নতুনভাবে।
সৌন্দর্য হলো সেই আলোর রূপ, যা কেবল বাহিরের নয়, অন্তরের সৌন্দর্যও তার মধ্যে বিরাজ করে। সে সৌন্দর্য অমলিন এবং অনন্ত।
যখন মন সৌন্দর্যের সীমানায় পৌঁছায়, তখন সে মন হয়ে ওঠে আরও স্বচ্ছ এবং বিশুদ্ধ। সৌন্দর্য তখন নিজের সত্তাকে প্রকাশ করে নতুন করে।
প্রকৃত সৌন্দর্য কোথাও লুকানো নয়, তার উপস্থিতি সর্বত্র। আমরা শুধু সেই সৌন্দর্যকে খুঁজে নিতে পারি, যদি আমাদের চোখ ও মন সজাগ থাকে।
সৌন্দর্যের রূপ যখন অন্তরের সঙ্গে মিলে যায়, তখন সে হয়ে ওঠে অমলিন এবং সত্য। তার মাধুর্য ছড়িয়ে পড়ে হৃদয়ের প্রতিটি কোণে।
প্রকৃত সৌন্দর্য হলো সেই সৌন্দর্য যা কেবল চোখের দেখা নয়। হৃদয়ের সঙ্গে মিলিত হয়ে তার অর্থ স্পষ্ট হয়। সে সৌন্দর্য অমৃতময়।
যে চোখে সৌন্দর্য নেই, তার কাছে পৃথিবী হলো ধূসর। কিন্তু যখন আমরা সৌন্দর্য দেখতে পাই, তখন পৃথিবী হয়ে ওঠে আলোর মতন।
সৌন্দর্য ধরা দেয় না সহজে। তাকে পাবার জন্য মনকে রাখতে হয় খোলা, তখনই সৌন্দর্য নিজের আলোতে নিজেকে প্রকাশ করে।
সৌন্দর্য হলো এমন একটি জিনিস যা কেবল দেখার জন্য নয়, অনুভব করার জন্য। তার মাধুর্য হৃদয়ের মধ্যে বাস করে এবং তাকে নিয়ে আসে আলোর দিগন্ত।
সৌন্দর্য হলো জীবনের সেই উৎস যা অন্ধকারের মধ্যে আলো দেয়। তার উপস্থিতি মনের গভীরতায় পৌঁছে দেয় এক অনির্বাণ দীপ্তি।
আমরা সৌন্দর্যকে খুঁজতে থাকি পৃথিবীর কোণে কোণে। কিন্তু যখন তাকে খুঁজে পাই, তখন বুঝতে পারি সে আমাদের মনেই ছিল।
প্রেম নিয়ে রবীন্দ্রনাথের উক্তি
প্রেম হলো সেই আনন্দ, যা শুধু গ্রহণের জন্য নয়, দেওয়ার মধ্যেও থাকে তার পরিপূর্ণতা। প্রেম কখনও একতরফা হতে পারে না।
যেখানে প্রেমের প্রাচুর্য থাকে, সেখানে কোনো বন্ধন থাকে না, কারণ প্রেম মুক্তি দেয়। সে কখনও শৃঙ্খলিত হতে জানে না।
প্রেম হলো জীবনের সেই মহাসমুদ্র, যা আমাদের হৃদয়ে গভীরতা এনে দেয়। তার তরঙ্গে আমরা প্রতিনিয়ত ভাসি।
প্রেমের মূলমন্ত্র হলো সমর্পণ। যেখানে কোনো দাবি নেই, সেখানে প্রেম নিজেই নিজেকে পরিপূর্ণ করে।
যে হৃদয় প্রেমের স্বাদ পায়নি, তার জীবনের গভীরতা বোঝা মুশকিল। প্রেম মানুষকে নতুনভাবে চিনতে শেখায়।
প্রেম হলো সেই রস, যা জীবনের প্রতিটি দুঃখ-কষ্টকে মধুর করে তোলে। তার গন্ধে হৃদয় পূর্ণ হয়ে ওঠে।
প্রেম কখনও দাবি করে না। সে শুধু নিজের আলোর মাধ্যমে সবকিছু মুগ্ধ করে। প্রেমের সত্যিকার রূপ হলো নিঃস্বার্থতা।
যে হৃদয়ে প্রেমের আলো জ্বলে, তার কাছে সমস্ত জীবন হয়ে ওঠে সুধাময়। প্রেমের গভীরতায় লুকিয়ে থাকে সমস্ত কষ্টের মুক্তি।
প্রেম কেবল বাহিরের নয়, অন্তরের এক গভীর অনুভূতি, যা আমাদের সত্তাকে পূর্ণ করে তোলে। প্রেমের স্পর্শে জীবন হয়ে ওঠে সুন্দর।
যে হৃদয়ে প্রেম নেই, সেখানে শূন্যতা থাকে। কিন্তু প্রেম যখন প্রবেশ করে, তখন সেই শূন্যতা পূর্ণতা পায় আনন্দে।
প্রেম যখন হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত হয়, তখন সে হৃদয়কে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। তার মাধুর্যে সবকিছু মুগ্ধ হয়ে যায়।
প্রেম হলো সেই আলো, যা কখনও নেভে না। সে আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আলোকিত করে রাখে।
প্রেমের গভীরতা সেই হৃদয় বোঝে, যে হৃদয় সত্যিকার অর্থে অনুভব করতে পারে। প্রেম হলো অন্তরের নিঃশব্দ ভাষা।
যে প্রেম দিতে জানে, সে কখনও অভাববোধ করে না। কারণ প্রেমের মূলমন্ত্র হলো দেওয়া। সেখানে কোনো অভাব থাকে না।
প্রেম হলো সেই অমৃত, যা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষণে সুখ এনে দেয়। তার সুধা মনের মধ্যে অনন্ত আলো ছড়িয়ে দেয়।
যে প্রেম নিজেকে সীমাবদ্ধ করে, সে কখনও পরিপূর্ণ হতে পারে না। প্রেমকে মুক্তির মাধ্যমে তার সম্পূর্ণতা লাভ করতে হয়।
প্রেম হলো সেই সুর, যা মনকে মুগ্ধ করে তোলে। তার মাধুর্যে হৃদয়ের সমস্ত দ্বিধা দূর হয়। প্রেম সুধাময়।
যে হৃদয় প্রেমের আলোতে পূর্ণ হয়, তার কাছে পৃথিবীটা নতুন রূপে ধরা দেয়। প্রেমের আলোতে সবকিছু মুগ্ধ হয়ে ওঠে।
প্রেম হলো সেই স্রোত, যা সবকিছু পেরিয়ে হৃদয়ের গভীরে প্রবাহিত হয়। তার মাধুর্য জীবনকে আরও সুন্দর করে তোলে।
যে প্রেম নিঃস্বার্থ, তার মাধুর্য অনন্ত। সে কখনও নিজের জন্য কিছু আশা করে না। সে সবকিছু দিতে জানে।
হাসি নিয়ে রবীন্দ্রনাথের উক্তি
হাসি হলো জীবনের সেই মাধুর্য, যা সমস্ত দুঃখ-কষ্টকে মুছে দিয়ে হৃদয়কে পূর্ণ করে তোলে। তার স্পর্শে মন হয় সজীব।
যেখানে হাসি নেই, সেখানে জীবনের রঙ ফিকে হয়ে যায়। হাসি হলো সেই আলো, যা সমস্ত অন্ধকারকে দূর করে দেয়।
হাসি হলো সেই মধুর সুর, যা মানুষের অন্তরের সমস্ত ভারকে লাঘব করে। তার মাধুর্যে জীবন হয়ে ওঠে আনন্দময়।
যে হৃদয়ে হাসির আলো জ্বলে, তার কাছে পৃথিবীর সমস্ত দুঃখ-কষ্ট ম্লান হয়ে যায়। হাসি মানুষকে নতুনভাবে বাঁচতে শেখায়।
হাসি হলো সেই ফুল, যা হৃদয়ের বাগানে ফুটে ওঠে। তার সুগন্ধে মন পূর্ণ হয়ে ওঠে আনন্দে এবং শান্তিতে।
হাসি মানুষকে মুক্তি দেয় তার নিজস্ব কষ্ট থেকে। তার মাধুর্যে মন হয়ে ওঠে হালকা এবং হৃদয় হয়ে ওঠে সজীব।
যে জীবনে হাসি নেই, সে জীবন দুঃখের ভারে নিমজ্জিত থাকে। হাসি মানুষের হৃদয়ে আলোর ঝলক এনে দেয়।
হাসি হলো সেই সুধা, যা সমস্ত যন্ত্রণার মধ্যেও হৃদয়ে শান্তি এনে দেয়। তার স্পর্শে মন ভরে ওঠে আনন্দে।
যখন হাসি মনের গভীরে জন্ম নেয়, তখন সেই হাসি হৃদয়কে শান্তি দেয়। তার মাধুর্যে সমস্ত যন্ত্রণা দূর হয়ে যায়।
হাসি মানুষকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়। তার মাধুর্যে জীবন হয়ে ওঠে আরও সুন্দর, আরও সজীব, আরও সুখময়।
হাসি হলো সেই মুক্তি, যা হৃদয়ের সমস্ত বেদনা দূর করে। তার সুরে মানুষ খুঁজে পায় জীবনের আনন্দ।
যে হৃদয় হাসির মাধুর্যে পূর্ণ হয়, তার কাছে পৃথিবীর সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। হাসি মানুষকে শান্তি দেয়।
হাসি হলো সেই আলো, যা মানুষের মনকে উদ্ভাসিত করে। তার মাধুর্যে জীবনের সমস্ত কষ্ট হয়ে ওঠে ম্লান।
যখন হৃদয়ে হাসি জাগে, তখন তার মাধুর্যে জীবন হয়ে ওঠে সহজ। হাসি মানুষের মনকে আলোকিত করে।
হাসি মানুষের জীবনের সেই সম্পদ, যা কখনও কমে না। তার মাধুর্যে হৃদয় পূর্ণ হয়ে ওঠে শান্তিতে।
হাসি হলো সেই সুধা, যা সমস্ত অন্ধকারের মধ্যে আলো ছড়িয়ে দেয়। তার মাধুর্যে মন হয় সজীব।
যে হৃদয় হাসির স্পর্শ পায় না, সে হৃদয় কখনও শান্তি খুঁজে পায় না। হাসি মানুষের অন্তরে আনন্দের স্রোত বইয়ে দেয়।
হাসি হলো সেই সুর, যা হৃদয়কে সজীব করে তোলে। তার মাধুর্যে জীবনের সমস্ত ভার লাঘব হয়।
যে হাসি হৃদয়ের গভীরে জন্ম নেয়, তার মাধুর্যে মন পূর্ণ হয়ে ওঠে আনন্দে। তার আলোতে জীবন হয় আরও সুন্দর।
হাসি মানুষের জীবনের সেই রূপ, যা সমস্ত দুঃখ-কষ্টের মধ্যে থেকেও তার মাধুর্যে জীবনকে আলোকিত করে।
দুঃখ নিয়ে রবীন্দ্রনাথের উক্তি
দুঃখকে বরণ করে নিতে শেখা চাই, কেননা দুঃখের মধ্যে দিয়ে জীবনের সত্যকে উপলব্ধি করা যায়। সেখানেই আছে মুক্তির পথ।
আমাদের সকল দুঃখের মধ্যে লুকিয়ে থাকে জীবনের গভীরতম আনন্দ। শুধু আমাদের চোখ তা দেখতে পায় না।
দুঃখের যন্ত্রণাই মানুষকে করে তুলেছে পরিণত এবং জ্ঞানের পথ দেখিয়েছে সে দুঃখের মধ্য দিয়ে।
জীবন যে শুধু আনন্দের, তা ভাবা ভুল। দুঃখের অভিজ্ঞতাই আমাদের জীবনের মূল মর্মার্থ শিখিয়ে দেয়।
দুঃখকে আমরা অবহেলা করতে চাই, কিন্তু সেই দুঃখই আমাদের প্রকৃত আনন্দের সন্ধান এনে দেয় একদিন।
যে দুঃখ পেতে জানে, সে দুঃখের আঘাতে জীবনকে নতজানু করতে শেখে না। বরং সে দুঃখ থেকে শক্তি সঞ্চয় করে।
আমাদের জীবনে দুঃখের এক গভীর তাৎপর্য আছে। সে তাৎপর্যকে উপলব্ধি করতে পারলে জীবনের রূপ আরো সুন্দর হয়ে ওঠে।
দুঃখের মধ্যে আনন্দকে খুঁজে পাওয়াই জীবনকে সত্যিকার অর্থে বুঝে নেওয়ার সবচেয়ে বড় পাঠ।
যে দুঃখকে আলিঙ্গন করতে পারে না, সে জীবনের সত্যিকার সুখের অর্থও কখনো উপলব্ধি করতে পারে না।
আমরা দুঃখকে এড়িয়ে চলতে চাই, অথচ সেই দুঃখই আমাদের জীবনের গভীরে লুকানো সত্যকে উদ্ঘাটিত করে।
দুঃখের দিনগুলোতেই আমরা জীবনকে সবচেয়ে নিবিড়ভাবে অনুভব করতে পারি। কারণ তখনই আমরা নিজের মধ্যে সত্তার প্রকৃত অর্থ খুঁজে পাই।
জীবনের প্রতিটি দুঃখময় মুহূর্তে লুকিয়ে থাকে এক নতুন সূর্যের আলো। সেই আলোকে খুঁজে বের করাই জীবনের উদ্দেশ্য।
মানুষের জীবনে দুঃখ আসবেই। তবে সেই দুঃখকেই যদি আমরা সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারি, তবেই জীবনের প্রকৃত শিক্ষা পাই।
দুঃখময় অভিজ্ঞতাগুলোই আমাদের জীবনকে গভীর করে, এবং সেই গভীরতাই আমাদের সার্থকতার মাপকাঠি।
দুঃখের সময়গুলোতেও জীবন চলতে থাকে। এবং সেই চলার মাঝেই আমরা পেয়ে যাই নতুন পথের সন্ধান।
আমাদের জীবনে দুঃখ যতবার আসে, ততবারই আমরা নতুন করে জীবনকে দেখতে শিখি। নতুন করে উপলব্ধি করতে শিখি।
দুঃখের সময়গুলোতে মানুষ নিজেকে নতুন করে চেনার সুযোগ পায়। এবং সেই চেনার মধ্যে দিয়েই জীবনের সত্যিকার রূপ আবিষ্কৃত হয়।
যে দুঃখের ভেতর দিয়ে যায়, সে জানে জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান শিক্ষা তার হাতের মুঠোয় এসে গেছে।
দুঃখের মধ্যে দিয়ে যাওয়া মানে জীবনের কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। সেই পরীক্ষাই মানুষকে করে শক্তিশালী।
জীবনের সবকিছু যে আনন্দময় হবে, তা নয়। তবে দুঃখের দিনগুলোই আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষক।
দাম্পত্য নিয়ে রবীন্দ্রনাথের উক্তি
দাম্পত্যের বন্ধন শুধু প্রেমের ওপর নির্ভর করে না, বরং বিশ্বাস, সহমর্মিতা ও পরস্পরের প্রতি দায়িত্ববোধের মধ্যেই তার স্থায়িত্ব নিহিত।
যে দাম্পত্যে প্রেমের সঙ্গে সম্মান মিশে থাকে, সেখানে একে অপরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সমর্থন জন্মায়।
দাম্পত্য জীবন মানেই শুধু একসঙ্গে থাকা নয়, একে অপরকে নতুনভাবে চেনা এবং প্রতিনিয়ত একে অপরের প্রতি ভালোবাসার চর্চা করা।
দাম্পত্যের বন্ধনে যখন ভালোবাসার পাশাপাশি বন্ধুত্ব থাকে, তখন সেই সম্পর্ক হয়ে ওঠে সবচেয়ে দৃঢ়।
দাম্পত্যের মূল সৌন্দর্য হলো একে অপরের ত্রুটি মেনে নেওয়া এবং সেই ত্রুটির মধ্যেই সুখ খুঁজে পাওয়া।
যে দাম্পত্যে ভালোবাসা যেমন আছে, তেমনই আছে সহনশীলতা, সেই সম্পর্ক সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়।
দাম্পত্য মানে একে অপরের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হওয়া, সেই সঙ্গে জীবনের প্রতিটি বাঁকে একসঙ্গে পথ চলা।
দাম্পত্য জীবনে যদি পারস্পরিক সমঝোতা থাকে, তবে সে সম্পর্কের মধ্যে কোনো বাধাই টিকতে পারে না।
দাম্পত্যের বন্ধন কেবল ভালোবাসার জন্য নয়, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও দায়িত্ববোধের কারণে অটুট থাকে।
যে দাম্পত্যে বোঝাপড়া আছে, সে সম্পর্কেই প্রকৃত সুখ এবং শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়।
সুখ নিয়ে রবীন্দ্রনাথের উক্তি
সুখ কখনো বাইরের কোনো কিছুর উপর নির্ভর করে না, সুখ হলো মনের এক অবস্থা যা আমরা নিজেরাই সৃষ্টি করি।
আমরা সুখকে বাইরে খুঁজি, অথচ সুখ আমাদের অন্তরের মধ্যেই আছে, আমাদের তাকে চিনে নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে।
জীবনের প্রতিটি মুহূর্তেই কিছু না কিছু সুখ লুকিয়ে থাকে, সেই সুখকে উপলব্ধি করার মতো মন থাকা দরকার।
যে মানুষ নিজেকে চিনতে পারে, সে সুখী, কারণ সে জানে সুখ কোনো বস্তুগত প্রাপ্তি নয়, এটি আত্মার একটি অনুভূতি।
সুখের সন্ধান যারা করে তারা কখনো সুখী হয় না, কারণ সুখ তখনই আসে যখন আমরা তার পেছনে ছুটতে থেমে যাই।
জীবনের ছোট ছোট জিনিসের মধ্যে সুখ লুকিয়ে থাকে, সেই ছোট্ট সুখগুলোকে উপেক্ষা করলে আমরা বড় সুখের আশা করতে পারি না।
সুখের প্রকৃত উৎস হলো আমাদের চিন্তা এবং মনোভাব, আমরা যদি আমাদের মনকে শান্ত করতে পারি, তবেই আমরা সুখী হতে পারি।
সুখের মুল চাবিকাঠি হলো নিজের সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া, বাইরে থেকে সুখ কখনো স্থায়ীভাবে আসে না।
যে নিজেকে ভালোবাসতে জানে, সে জীবনে প্রকৃত সুখ খুঁজে পায়, কারণ নিজের প্রতি ভালোবাসাই জীবনের মূল আনন্দ।
সুখ হলো এক ধরনের মানসিক শান্তি, যা বাইরে থেকে পাওয়া যায় না, অন্তরের গভীরতা থেকে জন্ম নেয়।
যে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আনন্দ খুঁজে নিতে পারে, সে সবচেয়ে সুখী, কারণ তার কাছে সবকিছুই আনন্দের উৎস।
মানুষের সুখ নির্ভর করে তার নিজের মনোভাবের উপর, মন ভালো থাকলে পৃথিবীর সবকিছুই তাকে সুখী করে তুলবে।
সুখ তখনই আসে যখন আমরা জীবনকে যেমন আছে তেমনভাবে গ্রহণ করি, অপ্রাপ্তির বেদনা তখনই মুছে যায়।
সুখের জন্য বেশি কিছু দরকার নেই, দরকার শুধু একটি নির্মল মন এবং জীবনকে সহজভাবে দেখার ক্ষমতা।
সুখ হলো এমন এক আবেগ যা সবকিছুর মাঝে থাকা সত্ত্বেও উপলব্ধি করতে হয়, বাইরে থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না।
জীবনের প্রতিটি দিনের মধ্যে কিছু না কিছু সুখ লুকিয়ে থাকে, শুধু আমাদের চোখ তা দেখতে পারলেই আমরা সুখী হতে পারি।
সুখী হওয়া মানে জীবনের প্রতি প্রতিটি মুহূর্তে কৃতজ্ঞ থাকা, কারণ কৃতজ্ঞতা থেকেই জন্ম নেয় প্রকৃত সুখ।
যে মানুষ জীবনের ছোট ছোট আনন্দের মধ্যেও সুখ খুঁজে পায়, সে কখনো জীবনের বড় বড় কষ্টে হারিয়ে যায় না।
সুখ আমাদের মনের মধ্যে থেকেই জন্ম নেয়, যতক্ষণ আমাদের মন শান্ত থাকবে ততক্ষণ আমরা সত্যিকারের সুখী হতে পারবো।
আমরা অনেক সময় সুখের সন্ধান করি পৃথিবীর বিভিন্ন কোণে, অথচ প্রকৃত সুখ আমাদের হৃদয়ের কাছেই লুকিয়ে থাকে।
পড়তে পারেনঃ প্রবর রিপন এর উক্তি (Probar Ripon Er Ukti), স্ট্যাটাস।
শেষকথা,
সৌন্দর্যের প্রতি রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের শিক্ষা দেয়, যে সৌন্দর্য আমাদের চারপাশে রয়েছে, এবং তা অনুভব করার জন্য আমাদের চোখ ও হৃদয় উন্মুক্ত রাখতে হবে। আসুন, আমরা তাঁর এই চিন্তা থেকে অনুপ্রাণিত হই।